বাংলাদেশকে একটি উন্নত স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিহাস ফাউন্ডেশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জীবিকা- এই পাঁচটি অপরিহার্য চাহিদা পূরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্রদের কষ্ট লাঘব করা।
সুনির্দিষ্ট কোনো খাতে দান করলে সেটা সে খাতেই ব্যয় করে থাকে ইতিহাস ফাউন্ডেশন। আর সাধারণ তহবিলের অর্থ ফাউন্ডেশন পরিচালিত সকল কল্যানমূলক কার্যক্রমের জন্য উন্মুক্ত থাকে। মানব সেবা মূলক যাবতীয় উদ্যোগ পরিচালনায়ও এই খাতের অর্থ ব্যয় করা হয়।
আমরা বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা আনতে চেষ্টা করি। স্থানীয় চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা অনুশীলনকারীদের একটি দল নিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প করি এবং স্থানীয়দের এই ক্যাম্পগুলি দেখার আমন্ত্রণ জানাই। ভবিষ্যতে আমরা এই স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পগুলি বাংলাদেশ জুড়ে আরও বেশি লোকের কাছে পৌঁছানোর চিন্তা করছি। চিকিৎসার অভাবে যাতে কাউকে মরতে না হয় সেই প্রচেষ্টায় কাজ করছে ইতিহাস ফাউন্ডেশন।
দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য মৌলিক চাহিদা প্রদান এবং বস্তি, শহরের উপকণ্ঠ বা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষা প্রদানসহ শিক্ষা উপকরণ দিয়ে থাকে ইতিহাস ফাউন্ডেশন।
"ইতিহাস ফাউন্ডেশন" মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে
স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিহাস ফাউন্ডেশন দরিদ্রদেরকে প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ ও উপকরণ-সহায়তা প্রদান করে। বেকার ও অদক্ষ নারী-পুরুষকে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য (আলাদাভাবে) কারিগরি প্রশিক্ষণ পূর্বক আর্থিক সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করে আত্মনির্ভরশীল করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
ইতিহাস ফাউন্ডেশন মনে করে— শুধু প্রশিক্ষণ, অর্থ ও উপকরণ-সহায়তা প্রদান অনেকের ক্ষেত্রে স্বাবলম্বিতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য ইতিহাস ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রশিক্ষিত, আর্থিক ও উপকরণ-সহায়তাপ্রাপ্তদের নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে, খোঁজ-খবর নিয়ে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে। এভাবে ইতিহাস ফাউন্ডেশন নৈতিকতা সম্পন্ন সুদক্ষ কর্মজীবী জনগোষ্ঠী তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
এই প্রকল্পের আওতায় যেসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়: দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা উপকরণ, প্রান্তিক কৃষকে কে গরু ক্রয় করে দেয়া, তরুণ বেকারদের রিক্সা, ইজি বাইক সহ সময় উপযোগী সহায়তা করা।
শিক্ষা, সেবা, উন্নয়ন এই স্লোগানকে সামনে রেখে আর্তমানবতার সেবায় গঠিত স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন “ইতিহাস ফাউন্ডেশন” এর পক্ষথেক স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা, অসহায় প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক মানুষদের হুইল চেয়ার বিতরণ করে যাচ্ছে ইতিহাস ফাউন্ডেশন।
ইফতার ও রামাদান ফুড বিতরণ ইতিহাস ফাউন্ডেশনের নিয়মিত কর্মসূচির একটি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভাবী সিয়াম পালনকারীরা যেন রামযান মাসে নির্বিঘ্নে সিয়াম পালন ও ইবাদত-বন্দেগী করতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ইফতার করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো সিয়াম পালনকারীকে ইফতার করাবে তাকে সিয়াম পালনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব দেওয়া হবে। তাতে সিয়াম পালনকারীর সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। (সুনান তিরমিযী: হাদীস-৮০৭; সুনান ইবনু মাজাহ: হাদীস-১৭৪৬)
ইতিহাস ফউন্ডেশন এ যাবৎ দেশব্যাপী অসংখ্য সিয়াম পালনকারীর মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে।
ইসলামের অন্যতম শিক্ষা মানবসেবা। কনকনে শীতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় শীতার্ত মানুষদের একটুখানি উষ্ণতা এনে দিতে ইতিহাস ফাউন্ডেশন প্রতি বছর আয়োজন করে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি’। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘দয়াবান লোকদের পরম করুণাময় আল্লাহও দয়া করেন। তোমরা জমিনবাসীর প্রতি সদয় হও, আসমানবাসী তোমাদের প্রতি সদয় হবেন।’ (সুনান আবু দাউদ: হাদীস-৪৯৪১; সুনান তিরমিযী, হাদীস-১৯২৪)
বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার চিরচেনা চরিত্র। গরমের তীব্রতায় পুড়ছে দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৃক্ষ নিধনসহ আমাদেরই হাতের কামাইয়ের পরিণতি প্রত্যক্ষ করছি আমরা। এ থেকে রক্ষা পেতে দরকার প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ইতিহাস ফাউন্ডেশন প্রতিবছর সারাদেশে ফলজ বৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মাসজিদ, মাদরাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী—যাদের গাছ লাগানোর মতো জমি রয়েছে—ফলজ গাছের চারা ক্রয় করে লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সাদাকায়ে জারিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ এবং দরিদ্রদের বছরব্যাপী আয়ের সুযোগ প্রদান করা হয়।
গাছ লাগানোর গুরুত্ব ও ফযীলত ও অপরিসীম। এটি একটি সাদাকায়ে জারিয়ামূলক নেক কাজ। যদি কেউ মানুষ কিংবা প্রাণীকূলের উপকার সাধনের লক্ষ্যে ফলজ বা বনজ গাছ রোপণ করে এবং এর মাধ্যমে সাওয়াব আশা করে, তবে এটি একটি উত্তম সাদাকায়ে জারিয়াহ; যার সওয়াবের ধারা ব্যক্তির মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তাহলে তা সে ব্যক্তির জন্য সাদাকাস্বরূপ।’ (সহীহ বুখারী: হাদীস-২৩২০, সহীহ মুসলিম: হাদীস-১৫৫৩)
ইতিহাস ফাউন্ডেশন সাধারণত উন্নত জাতের ফলজ গাছ লাগানোর চেষ্টা করে। যাতে পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি গরিব মানুষের অর্থের সংস্থানও হতে পারে।
প্রতি বছর বর্ষাকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। এসময় বিশেষভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলের বানভাসি মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। ইতিহাস ফাউন্ডেশন দেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে প্রতি বছরই ত্রাণ কার্যক্রম ও দুর্দশাগ্রস্ত-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর গুরুত্ব ও ফযীলত অনেক বেশি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর কষ্ট দূর করবেন, আল্লাহ তা‘আলা ইহকালে ও পরকালে তার কষ্ট দূর করে দেবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সহায়তা করতে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার কোনো ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।’ (সুনান তিরমিযী, হাদীস-২৯৪৫)
এই কার্যক্রমের আওতায় অভাবী ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হয় এবং উপরিউক্ত হাদীসের ওপর আমল হয়। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— চাল, ডাল, তেল, আলু, চিড়া, মোমবাতি, গ্যাস লাইটার, খাবার স্যালাইন এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ।
সবার জন্য কুরবানী ইতিহাস ফাউন্ডেশনের মানবসেবামূলক নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই থেকেই দীনদার ধনীদের পক্ষ থেকে গরিব জনগোষ্ঠীর মধ্যে কুরবানী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সাধারণত বেশি সংখ্যক কুরবানী হয়ে থাকে শহর-কেন্দ্রিক। অথচ অধিক সংখ্যক গরিব বাস করে গ্রামে। শহরের একটি বহুতল ভবনে যত সংখ্যক গরু কুরবানী হয়ে থাকে, এই পরিমাণ গরু কুরবানী কয়েকটি গ্রামেও হয় কি না— যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সবার জন্য কুরবানী প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিহাস ফাউন্ডেশন শহরের ধনীদের কুরবানীর একটা অংশ প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা-বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট পৌঁছে দেয়।
ইতিহাস ফাউন্ডেশন, ইতিপূর্বে শীতবস্ত্র, এতিম অসহায়দের বস্ত্র, প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ার, বিভিন্ন মাদ্রাসায় এতিম শিশুদের শিক্ষা উপকরণ ও বস্ত্র, সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি পাওয়া হিজড়াদের বস্ত্র বিতরণ, দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণসহ সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে আসছে।
সাল থেকে
আমরা শুনি আমরা পরামর্শ দেই আমরা একত্রে কাজ করি
আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি। দেশের মানুষের অর্থনীতি মুক্তির জন্য কাজ করি। আসুন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ভালো কাজ করি।আমরা সবসময় অসহায় মানুষদের পাসে দাড়ানোর চেষ্টা করি। তাদের স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি সেবা আমাদের সাধ্য মতো দিয়ে থাকি। আপনিও হতে পারেন আমাদের সংস্থার একজন দাতা সদস্য।
ইসলামের অন্যতম শিক্ষা মানবসেবা। কনকনে শীতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় শীতার্ত মানুষদের একটুখানি উষ্ণতা এনে দিতে ইতিহাস ফাউন্ডেশন প্রতি বছর আয়োজন করে ‘শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি’।
আমরা চাই সমাজের গরীব, দরিদ্র সকলেই যাতে তাদের মৌলিক অধিকার পায়। সেই প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই প্রচেষ্টায় আমাদের সহযোগী সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন অফিস, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সাধারন জনগন। আমরা চাই সবাই মিলে একসাথে এই প্রচেষ্টায় সফলতায় পৌঁছাব। তাই ইস্কুল ও মাদ্রাসায় দরিদ্র ও এতিম শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে যাচ্ছে ইতিহাস ফাউন্ডেশন।
ইতিহাস ফাউন্ডেশন পথশিশুদের খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা যত্ন এবং শিক্ষা সুযোগের মতো প্রয়োজনীয় সংস্থান সরবরাহ করার চেষ্টা করে, যাতে তাদের সাফল্যের জন্য একটি নিরাপদ ও লালনপালনকারী পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।
দেশব্যাপী স্বেচ্ছাসেবক
থেকে যাত্রা শুরু
সমর্থক সংখ্যা
প্রসংশা
আমরা শুনি আমরা পরামর্শ দেই আমরা একত্রে কাজ করি আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি।
ইফতার ও রামাদান ফুড বিতরণ ইতিহাস ফাউন্ডেশনের নিয়মিত কর্মসূচির একটি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভাবী সিয়াম পালনকারীরা যেন রামযান মাসে নির্বিঘ্নে সিয়াম পালন ও ইবাদত-বন্দেগী করতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ইতিহাস ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রের ধারা মোতাবেক ‘আজীবন সদস্য’ ও ‘দাতা সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দাতা সদস্য ও আজীবন সদস্যগণ ফাউন্ডেশনের কল্যাণার্থে যে কোনো সুপরামর্শ দিতে পারবেন। এ দুটি পরিষদের সদস্যগণ থেকে সংগৃহীত এককালীন অনুদান ‘ইতিহাস ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স’ মহাপ্রকল্প গড়ে তোলার কাজে ব্যয় করা হবে ইন-শা-আল্লাহ। উল্লেখ্য, এটি একটি সাদকায়ে জারিয়াহ প্রকল্প, যার সাওয়াব মৃত্যুর পরও আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে ইন শা আল্লাহ।