“ইতিহাস ফাউন্ডেশন” বাংলাদেশের একটি পরিচিত নাম। দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে “ইতিহাস ফাউন্ডেশনের” পদচিহ্ন আছে। “ইতিহাস ফাউন্ডেশন” বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের নিয়ে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে থাকে। “ইতিহাস ফাউন্ডেশন” দরিদ্র অসহায় মানুষদের সর্বদা পাশে থাকে। “ইতিহাস ফাউন্ডেশন” সমাজে অসহায় দরিদ্র ও পথশিশুদের খাবার, বাসস্থান, সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে। “ইতিহাস ফাউন্ডেশন” মনে করে পথ শিশুদের যদি সঠিকভাবে লালন পালন করা হয় তাহলে একদিন এই শিশুগুলো দেশ সেবার পেছনে নিজেদের উৎসর্গ করবে। তাদের মধ্যে থেকেই বেরিয়ে আসবে আগামী দিনের নেতৃত্ব। যাদের হাত দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলবে সামনের দিকে। পথ শিশুদের শিক্ষা বাস্তবায়নে “ইতিহাস ফাউন্ডেশনের” ভূমিকা ছিল অনবদ্য। পথশিশুদের শিক্ষা উপকরণ ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। ইতিহাস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ও মাদ্রাসায় বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ দিয়ে থাকে। এছাড়াও লেখাপড়ার আগ্রহ তৈরীর জন্য ছেলেমেয়েদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান করে “ইতিহাস ফাউন্ডেশন”। মেধা ও ফলাফলের ভিত্তিতে এই উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। পথ শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি “ইতিহাস ফাউন্ডেশন” আরো ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে আর্থিক অসচ্ছ লতার কারণে যে মানুষগুলো ছেলে মেয়েদের স্কুলের খরচ দিতে পারতো না তাদের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে স্কুলের ছেলে মেয়েদের ভর্তির সুযোগ এবং পড়ালেখার উপকরণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরবরাহ করার চেষ্টা করে। “ইতিহাস ফাউন্ডেশনের” উদ্যোগে সর্বদাই শিক্ষাখাতে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার উৎসাহ প্রদানের জন্য স্কুলব্যাগ, খাতা, কলম, পেন্সিল, পেন্সিলকাটারসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে আসছে। “ইতিহাস ফাউন্ডেশন” মনে করে যদি ছোট থেকেই শিশুদের সঠিক শিক্ষা দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় তাহলে এই শিশুগুলো আগামী দিনের পথ প্রদর্শক হয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই শিশুরা ভবিষ্যতে দেশ ও দেশের মানুষের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিবে। দেশ রক্ষার্থে ও দেশের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। শিশুদের ছোট থেকে দেশ প্রেম শিখাতে হবে তাহলে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবেসে যাবে। পরিশেষে বলা যায়, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। মানুষের সম্পূর্ণ জীবন শিক্ষা ছাড়া মূল্যহীন।

সবার জন্য শিক্ষা কথাটি কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে “ইতিহাস ফাউন্ডেশন”।
যোগ্যতা সম্পূর্ণ একটি জাতি গঠনের জন্য যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো অবশ্যই একদিন দূর হবে। আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, দায়িত্ববোধ এবং সেবাধর্মী একটি জাতি গঠনে সবাই কাজ করব। তাই “ইতিহাস ফাউন্ডেশনের” সাথে তাল মিলিয়ে বলতে হয় “”ইতিহাস ফাউন্ডেশন” সেচ্ছাসেবায় এগিয়ে আসুন।