লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ইতিহাস ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ

“ইতিহাস ফাউন্ডেশন” একটি দেশব্যাপী অলাভজনক সংস্থা যা পুরো দেশজুড়ে ভাল দিক এবং ইতিবাচক পরিবর্তনগুলি সমর্থন করে। “etihasfoundation” একটি বেসরকারী, অরাজনৈতিক, মানবিক এবং স্বেচ্ছাসেবক উন্নয়ন সংস্থা। ২০২২ সালে ঢাকা জেলা থেকে যাত্রা শুরু। “ef” সমাজের পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য ভিন্নধর্মী ও উদ্ভাবনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে সহায়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশে বিভিন্ন অসমতা এবং সামাজিক সমস্যার কারণে উন্নয়ন কার্যক্রম প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অপার সম্ভাবনাময় এই দেশে এই সকল সমস্যার কারণে আমরা পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি না। আমাদের জনসংখ্যার একটি বড় অংশের কারিগরি দক্ষতার অভাব, শিক্ষার অভাব, রাজনৈতিক অস্থিশীলতা এবং বন্যায় যথাযথ প্রযুক্তির ব্যবহারের অভাবে আমাদের সমাজ পিছিয়ে পড়ছে। “ef” এর লক্ষ্য এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষা ও যথাযথ সাহায্যের মাধ্যমে পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সহায়তা করা। এ জন্য “ef” কার্যক্রম সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, দরিদ্র, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ নিয়ে ২০২২ সাল থেকে কাজ করছে। সংস্থাটি এধরনের মানুষকে কারিগরি শিক্ষা, চাকুরী, আর্থিক সাহায্য এবং অনুপ্রেরণার মাধ্যমে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য যথাযথ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণও “ef” এর একটি মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি শিক্ষা, সামাজিক সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ, উদ্বাস্তু, উপজাতী ও উপকূলীয় মানুষের উন্নয়নের জন্য চলমান গবেষণা বাস্তবায়ন করা “ef” এর একটি লক্ষ্য, যা থেকে নীতিনির্ধারক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য-উপাত্ত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাস্তব অবস্থাটি অনুধাবন করতে পারেন। “ef” একদল দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংস্থাটি সম্প্রদায়ের কর্তৃপক্ষের সহিত সমঝোতার মাধ্যমে কোন একটি এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। “ইতিহাস ফাউন্ডেশনের” মূল উদ্দেশ্য আর্থসামাজিক উন্নয়ন ভিত্তিক যার মধ্যে রয়েছে, ০১/ সবসময় সমাজের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের পাশে থাকবে। ০২/ পথ শিশুদের কল্যাণ, প্রতিবন্ধী ও এতিম শিশুদের নিয়ে কাজ করা। ০৩/ যৌতুক প্রথা বন্ধ ও বাল্য বিবাহ রোধ করা। ০৪/ সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হতে জনগণকে বিরত রাখা। ০৫/ এলাকার দরিদ্র মেধাবী ও অশিক্ষিত ছেলে / মেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা। ০৬/ ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ০৭/ অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। ০৮/ বৃক্ষ রোপণে উৎসাহিত করা (গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান) বাস্তবায়িত করা। ০৯/ পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষার্থে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ১০/ জরুরী প্রয়োজনে রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করা। ১১/ রমজান মাসে ইফতারি সামগ্রী বিতরন করা। ১২/ ঈদ উৎসবে অসহায় গরিবের মাঝে ঈদ প্যাকেজ বিতরন করা। ১৩/ পরিবার পরিকল্পনা এবং উপকরণ বিতরণের সুবিধা। ১৪/ গুণীজনদের সংবর্ধিত করবে। ১৫/ সামাজিক সচেতনতায় বিভিন্ন সভা , সেমিনার , সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ১৬/ অসহায় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করা। ১৭/ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সুন্দর শক্তিশালী যুব সমাজ প্রতিষ্টা করা। ১৮/ এলাকার মানুষদের যেকোনো উন্নয়নমুখী ও সৃজনশীল কাজে সংবর্ধনা প্রদান করা। ১৯/ সাহিত্য,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিনোদন ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করবে। ২০/ দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া , সুন্দর সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্টা করা। এছাড়াও নিরাপদ সড়ক, শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন, কারিগরি দক্ষতা এবং আয় ভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ সমাজের বিভিন্ন কর্মকান্ডে আমাদের এ সংগঠনটি কাজ করবে।

মানবতার সেবা করা কোনো দয়া নয়, বরং এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মানুষের কষ্টের সময় পাশে দাঁড়ানোই আমাদের প্রকৃত শক্তি।

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

No Related Post